পথে ঘাটে বিভিন্ন আকারের পতাকা হাতে দেখা মেলে পতাকা বিক্রয়কারীদের। বাঙালি জাতির বিজয়কে আনন্দকে আরো বেশি রঙিন করে তুলতে দেশব্যাপী জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে দেওয়াই যেন ওদের কাজ!
আর তাই মাদারীপুর থেকে শুধু মাত্র পতাকা বিক্রি করতেই সিরাজুল মুন্সিদের সাভারে আসা।
কয়েক ফুট লম্বা বাঁশের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বড় থেকে ছোট আকারের পতাকা সাজিয়ে পথে পথে ঘুরে বিক্রি করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
সিরাজুল মুন্সির সাথে আলাপকালে তিনি বাংলানিউজকে জানান, সারা বছর এলাকাতে ফলের ব্যবসা, দিনমজুরি ও অন্য কাজ করেন তিনি। কিন্তু ডিসেম্বর মাস এলে প্রথম সপ্তাহ থেকেই সাভারের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করেন। বিগত কয়েক বছর ধরে এভাবেই ব্যবসা করছেন তিনি।
এ বছরও ডিসেম্বর মাসের শুরুতে মাদারীপুর থেকে এসে সাভারের চাঁপাইন এলাকাতে বাসা ভাড়া নিয়েছেন। সেখানে থেকেই সাভারের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন তারা। মাসের শেষে আবার ফিরে যাবেন নিজ এলাকাতে। শুধু যে পতাকা তাই নয়, মাথায় ও হাতে বাঁধতে লাল-সবুজের ব্যাজ, বাচ্চাদের জন্য প্লাস্টিকের হাতল, ব্যান্ড, ব্যাজসহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করেন তারা।
আকার ভেদে একেকটি পতাকা ২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত, ব্যাজ বিক্রি হয় ১০ টাকা, মাথার ফিতা ১০ টাকা, লাল সবুজের চড়কি ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে দুই হাজার টাকার পতাকা বিক্রি হয় তার। সেখান থেকে হাজারে লাভ হয় তিন থেকে চারশ’ টাকার মতো।
বাংলানিউজকে তিনি আরো বলেন ,শুধু স্বাধীনতা ও বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করে লাভই হয় তা না। এর মাধ্যমে আনন্দও পাওয়া যায়। পুরো দেশ এতো সুন্দর করে সাজে যার একটি অন্যতম প্রধান অলংকার জাতীয় পতাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
আরআই