ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অস্তিত্বে লাল-সবুজ

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
অস্তিত্বে লাল-সবুজ মাথায় লাল-সবুজ ব্যান্ডেনা পরিহিত এক ছোট্ট শিশু। ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ দেখতে বাসা থেকে বের হয়েছে শিহাব। মাথায় বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা-স্বরূপ ব্যান্ডেনা, গাল রঙিন আল্পনার রঙে। হাতে আছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। বাবার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে সে মনোযোগী হয় মুক্তিযুদ্ধের গল্পে।

বৃত্ত, তাহা, স্নিগ্ধা আর সবুজও নেমেছে রাজপথে। সঙ্গে আছেন আব্বু-আম্মু, দাদু-নানু বা চাচ্চু-ভাইয়া।

তাদের চোখে-মুখে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের কুচকাওয়াজ দেখার যতোখানি আগ্রহ-উদ্দীপনা, তারও বেশি দীপ্ত অঙ্গীকার বিজয় বোঝার, বিজয়ের নির্যাস অস্তিত্বে মেখে নেওয়ার। শিহাবের মাথায় বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা-স্বরূপ ব্যান্ডেনা, গাল রঙিন আল্পনার রঙে।                                          ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদলকথা হচ্ছিলো শিহাবের বাবা আসাদুর রহমানের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘কঠিন ও দীর্ঘ একটা পথচলার পর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। অনেক রক্তক্ষয়ের পর আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি, তা সম্পর্কে তো নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই জানতে হবে। আর জানার জন্য আজকের মতো করে দিন খুব কমই পাওয়া যায়, তাই বাসা থেকে বের হয়েছি ওদের নিয়ে। ’

শিশুদের পাশাপাশি বিজয়ের এ দিনে রাজপথে সরব উপস্থিতি দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণীসহ প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের। লাল-সবুজের রঙে নিজেদের রাঙিয়ে আসা এই জনতার স্রোত শামিল হয়ে যায় বিজয়ের উৎসব-মিছিলে। বাবার কোলে এক ছোট্ট শিশু।  ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদলরাজধানীর আগারগাঁওয়ে কথা হয় ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলামের সঙ্গে। পরিবারের সঙ্গে ঘুরছেন বেশ আনন্দে। তিনি বলেন, ‘বিজয় আমাদের অহংকার, আমাদের অস্তিত্ব। এ দিনটা তাই নিজেদের মতো করেই উদযাপন করার দিন আজ। ’

সকালে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ দেখার জন্যে ভিড় জমে হাজারো মানুষের। এই ভিড় যেন বলছিলো, রক্তমাখা বিজয়ের প্রতি বাঙালির আবেগের কথা। যে আবেগে সব বয়সের মানুষ ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হয় উৎসবের আয়োজনে। বিজয়ের রঙকে লাল-সবুজে রাঙিয়ে তারা তা মেখে নেয় নিজেদের অস্তিত্বে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এইচএমএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।