মজুর, যুবা, শিশু-শিক্ষার্থী সবাই এসেছেন। তবে সেই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যাদের জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশে বা বয়স ৪৭’র কম।
কেউ তার বাবার আঙুল ধরে, কোনো মা তার মেয়ে নিয়ে, কেউ পুরো পরিবার নিয়ে এসেছেন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
তারা এসেছেন বাংলাদেশে অর্জনের বীরদের স্মরণ করতে। পোশাকে রক্তের লাল। মাথায় বাঁধা বাংলাদেশের পতাকা। দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় চোখে মুখে।
সকালে সাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করার পরই হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদনে ছুটে আসেন। হাতে ছোট্ট পতাকা উড়িয়ে এহতেশাম যাচ্ছে স্মৃতিসৌধের কাছে। তার কাছে বিজয় দিবস মানে বাংলাদেশের বীরত্বগাঁথা সংগ্রামী ইতিহাস। যে ইতিহাসের নাম বাংলাদেশ। বয়স তার মাত্র সাত। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে তার জন্ম। এহতেশাম বলছিল, এদিন আমরা বিজয় অর্জন করেছি। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে বিজয় অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ফাহাদ জামান বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হলেও লক্ষ্য এখনও সফল হয়নি। দেশকে সফল, সমৃদ্ধ করার জন্য শপথ আর প্রেরণার দিনটি হতে পারে ১৬ ডিসেম্বর। শুধু ফুল দেওয়া আর অনুষ্ঠান করার জন্য বিজয় আসেনি।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান মনে করেন, যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের চিন্তা-চেতনা বুকে ধারণ করতে হবে। তখন দেশপ্রেমিক হিসেবে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এসএ/আইএ