ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যেতে হবে বহু দূর…

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
যেতে হবে বহু দূর… বাবার সঙ্গে শিশু স্মৃতিসৌধে, ছবি: বাংলানিউজ

সাভার স্মৃতিসৌধ থেকে: হাতে বাংলাদেশের ছোট্ট পতাকা। পরনে লাল সবুজের মিশেল। কারো কারো টি-শার্টে বাংলাদেশের পতাকা। সকালের সোনা রোদ গায়ে মেখে এমন মানুষের লম্বা সারি স্মৃতিসৌধের দিকে।

মজুর, যুবা, শিশু-শিক্ষার্থী সবাই এসেছেন। তবে সেই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যাদের জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশে বা বয়স ৪৭’র কম।

তাদের জন্যই দেশ স্বাধীন করে গিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। দেশের তরে বীর সন্তানদের স্মরণেও একটুও ঘাটতি নেই। দিনে দিনে বাড়ছে সম্মান। বাড়ছে স্বাধীনতা আর বিজয়ের স্বাদ।

কেউ তার বাবার আঙুল ধরে, কোনো মা তার মেয়ে নিয়ে, কেউ পুরো পরিবার নিয়ে এসেছেন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

তারা এসেছেন বাংলাদেশে অর্জনের বীরদের স্মরণ করতে। পোশাকে রক্তের লাল। মাথায় বাঁধা বাংলাদেশের পতাকা। দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় চোখে মুখে।

সকালে সাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করার পরই হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদনে ছুটে আসেন। হাতে ছোট্ট পতাকা উড়িয়ে এহতেশাম যাচ্ছে স্মৃতিসৌধের কাছে। তার কাছে বিজয় দিবস মানে বাংলাদেশের বীরত্বগাঁথা সংগ্রামী ইতিহাস। যে ইতিহাসের নাম বাংলাদেশ। বয়স তার মাত্র সাত। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে তার জন্ম। এহতেশাম বলছিল, এদিন আমরা বিজয় অর্জন করেছি। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে বিজয় অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ফাহাদ জামান বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হলেও লক্ষ্য এখনও সফল হয়নি। দেশকে সফল, সমৃদ্ধ করার জন্য শপথ আর প্রেরণার দিনটি হতে পারে ১৬ ডিসেম্বর। শুধু ফুল দেওয়া আর অনুষ্ঠান করার জন্য বিজয় আসেনি।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান মনে করেন, যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের চিন্তা-চেতনা বুকে ধারণ করতে হবে। তখন দেশপ্রেমিক হিসেবে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এসএ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।