সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় প্রিয়জনদের নিয়ে সেখানে গুরতে গেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বিজয় দিবসে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) চিড়িয়াখানায় গিয়ে এমনটাই দেখা যায়।
যান্ত্রিক এ শহরে কর্মদিবসে সামান্য অবসর নেই উৎসব প্রিয় বাঙালির। তাই তারা কোনো একটা বন্ধ বা ছুটির দিনের জন্যে মুখিয়ে থাকেন।
এমনই একজন মিরপুর সেকশন ১২ এর দুয়ারীপাড়ার বাসিন্দা আলী আজম (৬৮)।
বিজয় দিবসে স্ত্রী ছাড়াও পাঁচ নাতিকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন তিনি। বাংলানিউজকে আলী আজম বলেন, আমি একটা দোকানে চাকরি করি। নাতিরা বলে ঘুরতে যাবে। বড় নাতি আবার একটা গার্মেন্টেসে চাকরি করে। সবাই মিলে ঘুরতে বের হবো তেমন সময় পাই না। আজ সবার ছুটি তাই চলে এলোম ঘুরতে।
এদিকে বিজয়ের আনন্দ আর ছুটির দিনকে সামনে রেখে ভিন্ন আয়োজনও চোখে পড়েছে চিড়িয়াখানায়। গৃহিণী মায়েদের স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের পড়ালেখার বাইরে একটু আনন্দ আয়োজনে বিজয় দিবসে পারিবারিক পিকনিকের আয়োজন করেছেন অনেকেই।
রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর থেকে আসা আফরোজা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা একই এলাকার ৬ পরিবারের ১৯ জন এসেছি। বাসা থেকে এক সঙ্গে রান্না করে এনেছি। সকাল থেকে ঘোরাঘুরির পর সবাই এক সঙ্গে দুপুরের খাবার খাবো।
‘এখন বাচ্চারা আনন্দ করছে, আর আমরা বসে গল্প করছি। প্রতিদন সকালে উঠে স্কুল যাওয়া-আসা, বাসার কাজকর্ম, নিয়ে ব্যস্ত থাকি। বাচ্চারাও পড়াশোনা নিয়ে থাকে। ছুটির দিন পেয়ে আগে থেকেই প্ল্যান করে চলে এসেছি। ’
আফরোজা বেগমদের মতো ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন নিয়ে পশু-পাখিপ্রেমীদের সমর্পণ করেন প্রকৃতির কাছে। কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে এলেও অনেকেই এসেছেন বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটাতে।
চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে, হরিণ, বাঘ ও বানরের খাঁচার সামনে। এছাড়া জিরাফ, ময়ুর, জলহস্তি এবং বিভিন্ন ধরনের পাখির খাঁচার সামনেও ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এসআইজে/এমএ