১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকীতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৮৮ সালে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে রয়েছে সাতটি স্তম্ভ, অজ্ঞাতনামা শহীদদের কবর ও লেক সুবিশাল সবুজ ভূমি। তবে প্রণীত নকশা অনুসারে পূর্ণতা পায়নি জাতীয় স্থাপনাটি। তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, লাইব্রেরি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত স্থায়ী ম্যুরালসহ বেশ কিছু স্থাপনা নির্মিত হয়নি। তবে দু’টি ম্যুরালের একটির দেয়াল তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে দেয়ালটি। তবে মহান বিজয় দিবসে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) একদিনের জন্য দৃষ্টি কেড়েছে ম্যুরাল দেয়ালটি। ঢাকা জেলা পুলিশ অস্থায়ীভাবে সেখানে স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সেখানে এসে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার আলোকচিত্র দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছে নতুন প্রজন্ম।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাত বাংলানিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পার হলেও ম্যুরাল সংযোজনে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। যারা আসেন, তারা শুধু জানেন, এখানে শহীদদের কবর রয়েছে। কিন্তু তারা জানেন না, কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে’।
‘পুলিশের পক্ষ থেকে একদিনের জন্য স্থিরচিত্র প্রদর্শনী হচ্ছে। দীর্ঘদিনের দাবি, অস্থায়ী নয়, স্থায়ী ম্যুরালের ব্যবস্থা করা হোক’।
স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা কিশোরী নিনিতা বলেন, ‘দেয়ালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন স্থিরচিত্র দেখে দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত হয়ে গেলাম। এ আয়োজন করায় ঢাকা জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই’।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) জাহিদুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের বিজয় রচিত হয়েছে। তারই কিছু দুর্লভ স্থিরচিত্র সংগ্রহ করে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। যা দেখে নতুন প্রজন্ম জানবে, দেখবে, শিখতে পারবে’।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, ম্যুরাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই প্রদর্শনের জন্য তৈরি করা হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এএসআর