শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ বাংলানিউজকে জানান, ওই দম্পতি শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে খাবার খেয়ে ঘুমোতে যান। এসময় সোবহান বুকে ও পেটে ব্যথ্যা হচ্ছে বলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি বমি করতে থাকেন।
স্বজনেরা তাকে চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে স্ত্রী শেফালীও বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের সন্তানদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এর আগে ছেলেদের নামে থানায় জিডিও করেছিলেন সোবহান। মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তাদের দুই ছেলে নওশাদ (৫০) ও আবু তালেবকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
আরআর