শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে টিকিট নিয়ে এমন বিড়ম্বনার কথা বলছিলেন জাতীয় চিড়িয়খানায় ঘুরতে আসা ৭ম শ্রেণির ছাত্র সোহাগ।
এদিন বিজয় দিবস উপলক্ষে সোহাগ, শাকিল রাব্বি, সুমন, সৌখিন এবং সরন ছয় বন্ধু মিলে চিড়িয়খানায় ঘুরতে এসেছে।
কিন্তু চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে টিকিটের জন্য তাদেরকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে কয়েক দফায়। টিকিট নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ালে তাদেরকে সেখান থেকে দু্ইবার বের করে দেওয়া হয়। পরে তৃতীয়বার তারা আলাদা আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে অবশেষে কাঙ্খিত টিকিট পেয়ে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করে বলেও জানায় তারা।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য ১৩টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হয়। তবে সেখানে একটি কাউন্টারও নারী ও শিশুদের জন্য নেই। সব কাউন্টারে নারী-পুরুষ, শিশু সকলকেই একসঙ্গে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে হচ্ছে। এমনকি প্রতিবন্ধীদেরকেও অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকিট নিতে হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
বিজয় দিবসের দিনে চিড়িয়াখানায় ছিলো দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। এতে করে টিকিট নিতে প্রত্যেককেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে ১৫-২০ মিনিট।
টিকিট নেওয়ার এই প্রক্রিয়ায় পুরুষের কোনো সমস্যা না হলেও বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারী, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদেরকে। কে আগে টিকিট নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন এমন প্রতিযোগিতায় তাদেরকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জয়শ্রী বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুরুষের সঙ্গে গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে হচ্ছে। তার মধ্যে বখাটে ছেলেরাও রয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নারী শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য একটা কাউন্টার আলাদা করলেই পারে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মাদ সালমান বাংলানিউজকে বলেন, আসলে একসঙ্গে এতো চাপ সাধারণত হয় না। আজকে বিজয় দিবস হওয়ায় মানুষের বেশি চাপ। তবে এর আগে কখনো আমরা এমন অভিযোগ পাইনি। এখন যেহেতু পেয়েছি কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
টিকিট মূল্যের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী বাদে ২ বছরের বেশি বয়সি প্রত্যেকের জন্য সরকার নির্ধারিত টিকিট মূল্য ৩০ টাকা। প্রতিবন্ধীদেকে বিনামূল্যে টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এসআইজে/বিএস