রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে ইমামতি করেন জাতীয় সংসদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক, ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং সংসদ সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে ছায়েদুল হকের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়াও মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদীয় কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ও সংসদ সদস্য এ বি এম তাজুল ইসলাম।
জানাজা শেষে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরহুম ছায়েদুল হককে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৩৯ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ বা পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ছায়েদুল হক। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ছায়েদুল হকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্মস্থান ও নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে। সেখানে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে চিরসমাহিত করা হবে তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
এসএম/আরআইএস/