রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবির বিষয় জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- সংগঠনের ভাইস চেয়ারপারসন ড. এস এম মোর্শেদ।
এ সময় এস এম মোর্শেদ তার বক্তব্যে সুপারিশগুলোর মধ্যে তুলে ধরেন- জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) প্রশিক্ষণ ও ব্রিফিংয়ে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। বিদেশে যাওয়ার আগে শ্রমিকদের যথাযথ তথ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হব। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। সরকারি হাসপাতালে বিদেশগামী শ্রমিক ও বিদেশ ফেরত শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিদেশে বাংলাদেশের শ্রম উইংগুলোতে কার্যকর ও হেল্প লাইন চালু করতে হবে। দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে যথাযথ আইনি সহায়তার সুযোগ তৈরি করতে হবে। গন্তব্য দেশের সঙ্গে যৌথ শ্রম পরিদর্শন এবং প্রতিবেদন তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরব ফেরত নারী শ্রমিক রহিমা বেগম তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমি ৫ মাস গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে কাজ করেছি। মালিক আমাকে কোনো পারিশ্রমিক দেয়নি। পরে আমি মালিকের বাড়ি থেকে পালিয়ে সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে চলে যাই। দূতাবাস থেকে আমাকে দেশে ফেরত আসার ব্যবস্থা করে দেয়। তবে আমাকে নিজ খরচেই দেশে আসতে হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ওশির নির্বাহী পরিচালক এ আর চৌধুরী রিপন ও কমিউনিকেশন অফিসার আব্দুর রাশিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
এমএইচ/ওএইচ/