রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এ সময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আল আমিন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৩ ডিসেম্বর ত্রিশাল উপজেলার বৈলর এলাকার মাছ ব্যবসায়ী ওসমান গণি ও তার সহযোগী নূরে আলম রঞ্জ ব্যাংক থেকে ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা উঠিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বৈলরে মাছের আড়তে ফিরছিলেন।
বিকেলে স্থানীয় একটি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি মাইক্রোবাস এসে তাদের ব্যারিকেড দেয়। এ সময় ডিবি পুলিশের পোশাক পড়ে দুই ব্যক্তি পিস্তল, ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাপসহ গাড়ি থেকে নেমে ওয়ারেন্টের কথা বলে ওসমান গণি ও তার সহযোগী নূরে আলমকে তুলে নিয়ে যায়।
ভয়ভীতি দেখিয়ে সঙ্গে থাকা ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা রেখে দিয়ে তাদেরকে ভালুকা থানা এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে ১৩ ডিসেম্বর এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রিশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)।
গত শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ও শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) গাজীপুর, ঢাকা ও সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশের ওই তিন ভুয়া সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
তবে কৌশলে সটকে পড়ে প্রতারক চক্রের আরো দুই সদস্য। অভিযান চলাকালে তাদের কাছ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
এমএএএম/জেডএস