ওই সংসদ সদস্য বিষয়টি জেনে গেছেন। তিনি যথারীতি বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে শেখ মোঃ টিপু সুলতান বাংলানিউজকে জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে সম্প্রতি জানানো হয় যে, তার পুত্র বলে পরিচয় দিয়ে এক যুবক জাপানি ভিসার জন্য আবেদন করেছে। অথচ তার কোনো পুত্র সন্তান নেই। তিনি ২ কন্যা সন্তানের জনক। বিষয়টি জানার পর গত ১৩ ডিসেম্বর বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি। জিডির অনুলিপি এরই মধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
অভিযোগের সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার ঠিকানায় তৈরি হওয়া ওই পাসপোর্টে জনৈক নুরন্নবী গোলাপ তার পিতার নামের স্থলে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ টিপু সুলতানের নাম ব্যবহার করেছেন। এরপর সেই জাল পাসপোর্টের অনুকূলে জাপান দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ভিসা ইস্যুর আগে যথারীতি সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে সংসদ সদস্যের কাছে তথ্যের সত্যতা জানতে চাওয়া হয়।
এর আগেও ভিসার জন্য এরকমই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিল নাহিদ তালুকদার নামের অপর এক যুবক। নাহিদ নামের সেই ব্যক্তি সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী সেজে তার সাথে জার্মানি যেতে চেয়েছিল। এজন্য ভিসার জন্য আবেদনও করেছিল। কিন্তু সাংসদ সেখানে না যাওয়ায় সেই প্রতারণাও ধরা পড়ে যায়।
সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আসাদুর রহমান জানান, জাল পাসপোর্টধারী নুরন্নবী গোলাপের বিষয়ে তদন্তে নেমে তার প্রকৃত পরিচয় ও নামধাম জানতে পারেননি। তবে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে অনেক কিছুই জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্যের সাথে এর আগে ঘটা নাহিদ তালুকদারের ও নুরন্নবী গোলাপের প্রতারণার দু’টো ঘটনার যে কাগজপত্র হাতে পেয়েছেন, তাতে সেখানে থাকা ছবি দেখে মনে হচ্ছে উভয়ই একই লোক। তবে মূল ছবি হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
এমএসএস/জেএম