সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর রাতে ওই এলাকার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নির্মাণাধীন ভবনটির নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত সদস্যরা ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে রিমন তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। সারাদিন ঘুরাঘুরির পর সন্ধ্যার দিকে স্ত্রী ও সন্তাদের বাসায় নামিয়ে দিয়ে তিনি চলে যান। রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে রিমনের মোবাইলফোন খোলা থাকলেও কল রিসিভ করছিলেন না। পরে সোমবার ভোরে শুক্রাবাদের নির্মাণাধী ওই ভবন থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত রিমন উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। সম্প্রতি রিমনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তাদের পরিবারে দুই সন্তানও রয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে তার স্ত্রী রাজধানীর ৬৮ সায়েন্স ল্যাবরেটরি রোডের একটি বাসায় থাকেন।
এর আগে, নিহত রিমন তার বন্ধু টুটুল এক সঙ্গে ১৫ শুক্রাবাদের ওই নির্মাণাধীন ভবনের একটি ফ্ল্যাট কিনেন। এ নিয়ে বন্ধু টুটুলের সঙ্গেও দ্বন্দ্ব চলছিলো বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে ডিএমপি’র রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড।
ঘটনাস্থলে গিয়ে আত্মহত্যার করার কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। তবে সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
এসজেএ/জিপি