বন্ধ থাকা রুটগুলো হল- বরিশাল থেকে ঝালকাঠি, ভাণ্ডারিয়া, পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা ও খুলনা।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে দাবি ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি।
এদিকে, বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে তারা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন ।
ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহাদুর চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বাগেরহাট সমিতির বাস গুলো সমন্বয় করে চলাচল করলেও বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে ঝালকাঠি সমিতির কোনো বাস চলতে দেওয়া হচ্ছে না। বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার আট কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। বরিশাল ও পটুয়াখালী মালিক সমিতি ওই আট কিলোমিটার সড়ক ব্যবহার করলেও ঝালকাঠি মালিক সমিতির কোনো বাস ওই সড়কে চলতে দেওয়া হয় না। তাই ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আল্টিমেটাম অনুযায়ী মাঠে নেমেছেন তারা।
তিনি জানান, যাত্রীসেবা বন্ধ নেই। বর্তমানে ঝালকাঠির রায়াপুর নামক স্থান থেকে যাত্রীদের ঝালকাঠি শহর, পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, বাগেরহাট, খুলনা সড়কে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বরিশাল নগর থেকে যাত্রীরা সেখানে বিভিন্ন মাধ্যমে আসছে। আন্দোলনের কারণে শুধু বরিশাল মালিক সমিতির গাড়ি ঝালকাঠিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে বরিশাল-কুয়াকাটার যে আট কিলোমিটার রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ সেখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়নি। এবিষয়ে রাতে আলোচনা হবে।
এদিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন জানান, ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি স্বেচ্ছাচারিতা করছে। বরিশালের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি ঝালকাঠি হয়ে আরও পাঁচ রুটে বাস চলাচল এখন বন্ধ রয়েছে। বরিশাল মালিক সমিতির কোনো গাড়ি তারা ঝালকাঠি জেলায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আবার ঝালকাঠি থেকে কোনো গাড়িও বরিশালে আসতে দিচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, শুনেছি রুপাতলী থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে রায়াপুরে একটি অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড বানিয়ে সেখান থেকে বাস পরিচালনা করছে তারা।
বিষয়টি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিকে জানানো হয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আন্দোলনে নামা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার আট কিলোমিটার রাস্তায় যাত্রীবাহী বাস চলাচলে ন্যায্য হিস্যার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আল্টিমেটাম দিয়েছে ঝালকাঠি জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি।
ঝালকাঠি জেলা বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহমুদ বাচ্চু জানান, ঝালকাঠি-বরিশাল ও পটুয়াখালী-বরগুনা এবং পিরোজপুরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে ঝালকাঠির আওতাধীন আট কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। আর ঝালকাঠি-বরিশালের মধ্যে ঝালকাঠির আওতাধীন সড়ক ৯৫ শতাংশ। কিন্তু ঝালকাঠি বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতির গাড়ি গুলোকে ঝালকাঠি-বরিশাল ছাড়া অন্য কোনো রুটে চলতে দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য বারবার তাগিদ দিলেও বরিশাল-পটুয়াখালী মালিক সমিতি এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করেনি।
ন্যায্য হিস্যা না দিয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতি জোর করে ঝালকাঠির আঞ্চলিক মহাসড়কের আট কিলোমিটারের ভেতর যাত্রীবাহী বাস চালাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
এমএস/আরআইএস/