মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও করাচি প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে উপ হাইকমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান উপস্থিত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর পর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র বাণী পড়ে শোনান উপ হাইকমিশনার ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ কম্যুনিটির মধ্য থেকে কয়েক জন আলোচনায় অংশ নেন। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রসঙ্গ আলোচনা করেন।
উপ হাইকমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান তাঁর বক্তব্যে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালীর স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিবৃত্ত তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো কালজয়ী নেতৃত্বের কারণেই আমরা এত সহজে, স্বল্প সময়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের মহান সংগঠক জাতীয় চার নেতা ও সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের সালাম জানিয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান যদি আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়, তবে তাদেরকে ১৯৭১ সালে তাদের সেনাবাহীনির হাতে সংগঠিত গণহত্যার দায় স্বীকার করে ত্রিশ লাখ শহীদের, সম্ভ্রম হারানো দু’লাখ মা-বোন ও লক্ষ লক্ষ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের কাছে নি:শর্ত
ক্ষমা চাইতে হবে। তাদেরকে মানবতা ও ইতিহাসের দায় মেটাতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে নেয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
জেডএম/