রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে থানায় মামলা হলেও তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেফতারের স্বার্থে পুলিশ ও বাদী বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। পরে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানানো হয়।
এদিকে, হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গেছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ফকির পান্নু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি নথিভুক্ত করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, শিগগিরই তাদের শনাক্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে। এমপির পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে তার বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, ২০০০ সালের ২০ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে আমার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা কালিদাস বড়ালকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনার এক যুগ পরে জড়িতদের কয়েকজনকে আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে খালাস দেন আদালত।
তিনি জানান, নিম্ন আদালতে ন্যায় বিচার পাননি দাবি করে রায়ের পর তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে খালাস ও দণ্ডপ্রাপ্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে তার পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। অদিতির ওপর হামলা এ পরিকল্পনার অংশ বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) শহরের আমড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নারীদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে সংরক্ষিত সংসদ সদস্য হ্যাপী বড়ালের সঙ্গে তার মেয়ে অদিতিও ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সমাবেশ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ব্যক্তিগত গাড়িতে ওঠার সময় এক যুবক অদিতি বড়ালের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
আরবি/