ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি শাবান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, মুক্ত গণমাধ্যমের যুগে সন্ত্রাসীরা যখন সাংবাদিকদের এভাবে হুমকি দেয়, তখন মুক্তচিন্তা, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আমরা গণমাধ্যম-বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে আইনের মুখোমুখি করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ গতকাল পৃথক এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই ডিআরইউ’র সিনিয়র সদস্য, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম এবং স্টাফ রিপোর্টার রুহুল আমিন রাসেলকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মানহানি মামলা করা হয়েছে। ডিআরইউ এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে তারা দুই সাংবাদিকের জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
গত ২৮ অক্টোবর পটুয়াখালীর সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি লুৎফুন নেছা ও তার স্বামী সুলতান আহমেদ মৃধাকে নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘এমপির স্বামী বলে কথা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুলতান আহমেদ মৃধা গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও স্টাফ রিপোর্টার রুহুল আমিন রাসেলের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার হয়রানিমূলক মানহানি মামলা করেন। অথচ বাংলাদেশ প্রতিদিনে গত ৩১ অক্টোবর যথারীতি সুলতান মৃধার এ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রতিবাদ আকারে প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই সুলতান পরিবার ও তাদের ক্যাডার বাহিনী বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সুলতানপুত্র মাসুদ আতিকুর ও পরিবারের সদস্যরা। ফেসবুকে রিপোর্টার রুহুল আমিন রাসেলের ছবি দিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য পোস্ট করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে জীবননাশের হুমকিও।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
জেএম