জানা যায়, ফ্লাইওভারের ৯৬.১৩ শতাংশ কাজ শেষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহিপাল দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী পরিবহনের পাশাপাশি নোয়াখালী, দাগনভূঞা, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, রামগতি ও রায়পুরের গাড়ি চলাচল করে। এতে করে মহিপাল অংশে প্রায়ই যানজট সৃষ্টি হতো, দুর্ভোগে পড়তো সাধারণ যাত্রীরা। ফ্লাইওভারটি চালু হলে মহীপালে গাড়ির চাপ আগের চাইতে অনেক কমে যাবে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের গাড়িগুলো ফ্লাইওভার ব্যবহার করে দ্রুত গন্তব্যে চলে যেতে পারবে। অপরদিকে, আঞ্চলিক সড়কে গাড়ির চাপ কমে যাবে।
মহিপালের স্থানীয় বাসিন্দা আবুল খায়ের চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, এ স্থানে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহিপালের প্রবেশপথ চাঁড়িপুর রাস্তার মাথা থেকে মহাসড়কের ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের আগ পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ৬৬০ মিটারের এই ফ্লাইওভার। ইতোমধ্যে ৬৫০ মিটারের কাজ শেষ হয়েছে। সর্বমোট ১৭৮টি পাইলের সবগুলোর কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া, ২২ পাইলের ক্যাম্প, মোট ৬৬.৩৩ মিটার পিয়ার কলামের কাজ, দুই পাশে ১৩২০ মিটারের কাজ, ২২১০ মিটার সাইট ড্রেনের মধ্যে ২১০৪ মিটারের কাজ শেষ হয়েছে। সর্বমোট ১৩২ পিসি গার্ডার, এপ্রোচ রোড ডান/বাম-এর ৩৬৪০ মিটারের মধ্যে ৩৫৩০ মিটার, ১০টি পিয়ার হেডের কাজ, ১১টি ডেক্স স্লাবের কাজ, ৫০৬টি ক্রস গার্ডার, ৩৬৪০ মিটার কার্ভ স্টোনের কাজ, ১৩২০ মিটার ফুটপাতের ওয়ালের ১৩১৫ মিটারের কাজ, ৬৬০টি মেডিয়ান পিলারের ৬৫০টির কাজ, রি ব্লক বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। সর্বমোট ১৮২০ মিটার ইলেট্রিক কাজের মধ্যে ১৭১০ মিটারের কাজ ও সংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহনের কাজ শেষ হয়েছে।
নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধায়ক সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইশেনের (এসডব্লিউবি) কর্মকর্তা মেজর ফয়সাল বাংলানিউজকে বলেন, কাজের ৯৬.১৩ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। চলিত মাসের ৩১ তারিখে ফ্লাইওভারটির উদ্বোধন হতে পারে।
এদিকে, ফ্লাইওভারের কাজ পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে ছয় লেন বিশিষ্ট প্রথম ফ্লাইওভার ফেনীতে হচ্ছে। সেনাবাহিনী সঠিকভাবে কাজ করায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে। কাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফেনীতে এসে ফ্লাইওভারটির উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসএইচডি/এনটি