রাতভর টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা। এতে দিনের বেলাতেও মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।
এছাড়া হঠাৎ শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তেঁতুলিয়া উপজেলার সাধারণ মানুষ, বৃদ্ধ ও শিশুরা।
দুই-তিনদিন ধরে এ জেলায় শীত আর কুয়াশার প্রকোপ বেশ বেড়ে গেছে। বইছে হিম শীতল হাওয়া। শেষ বিকেল থেকে ঘন কুয়াশা শুরু হয়ে রাত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা বৃষ্টির মত মাটিতে পড়ছে। শীতের প্রকোপ আর কুয়াশার কারণে কোনো দিন দুপুর পর্যন্ত আবার কোনো দিন সারাদিনই দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে নাকাল হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। দেখা গেছে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। এতে কাজকর্ম না পাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, ভৌগলিক কারণে পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বেশি। কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের তীব্রতাও বেড়েছে। আমরা সরকারিভাবে এ বছর প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য ২৭৫ পিস করে মোট ১৭ হাজার ২৫০ পিস কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। ইতোমধ্যে শীতার্ত মানুষের মাঝে এসব বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
টিএ