মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশারে মালি যেতে প্রস্তুত সদস্যদের জন্য দিক নির্দেশনামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় সেখানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিমান বাহিনী সদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বিমান সদর ও ঘাঁটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমান বাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে আমরা শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন শুরু করেছি। এছাড়া মালিতে আমরা দায়িত্ব পালন করছি ২০১৪ সাল থেকে। এখনও ৫শ ৮ জন বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করছেন।
‘বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সব সময় সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। আমি আশা করবো তোমরা যারা যাচ্ছো তারাও দেশের জন্য কাজ করবে, দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের সুনাম অব্যাহত রাখবে। মালির পরিবেশ বাংলাদেশের মতো ভালো নয়, সেখানে সংঘাতময় পরিবেশ। তোমরা সেই সংঘাত দূর করতে যাচ্ছো। ’
তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে একজন সোলজারের দায়িত্ব দেশ রক্ষা করা। দেশের প্রয়োজনে তাকে যেখানে যেতে বলা হবে সেখানেই যেতে হবে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ এভিয়েশন ইউনিটে বিমান বাহিনীর ১৩ সদস্যকে প্রথমবারের মতো মালির শান্তি রক্ষা মিশনে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ এয়ার ফিল্ড সার্ভিস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইউনিটে পর পর তিন বছর ১১০ সদস্যের দল মালিতে শান্তি রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। শনিবার চতুর্থবারের মতো যাচ্ছে ১১০ সদস্যের আরো একটি দল।
সব শেষে মিশনের সাফল্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কন্টিনজেন্ট আরটি সার্জেন্ট সাইফুল।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসআইজে/এএ