মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ের ‘প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী’ বদরুলকে প্রত্যাহার করা হয়।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে দয়াগঞ্জে ছিনতাইয়ের ঘটনাস্থলের অদূরেই পুলিশের একটি চেকপোস্ট ছিল।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী’ এএসআই বদরুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তবে এর সঙ্গে দয়াগঞ্জে ছিনতায়ের কবলে পাঁচ মাসের শিশুর প্রাণহানির ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
অবশ্য ছিনতাই ও আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার দুপুরেই অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আরাফাতের বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আসামিকে ধরতে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে।
স্বজনরা জানান, সোমবার ভোরে শরীয়তপুর থেকে লঞ্চযোগে ঢাকায় আসার সময় দয়াগঞ্জে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন শাহ আলমের স্ত্রী আকলিমা ও তার পাঁচ বয়সী শিশু সন্তান আরাফাত। ছিনতাইকারীরা আকলিমার ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দিলে চলন্ত রিকশা থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয় আরাফাত। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সোমবারই আরাফাতের ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যার দিকে মরদেহ নিয়ে ঢামেক মর্গ থেকে বেরিয়ে যান স্বজনরা।
ময়নাতদন্তের নেতৃত্বে থাকা ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রাধান ডা. সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে, আরাফাতের মাথায় আঘাতের কারণে তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। ওপর থেকে পড়ে গিয়ে আরাফাত মাথায় আঘাত পায়। এই আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসজেএ/পিএম/আরআইএস/এইচএ/