মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুরের কক্ষে ঢুকে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন শামীমা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব এবং কাউন্সিলর মোখলেছুর রহমান কামরান মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে শামীমা চড়াও হন নূর আজিজুরের ওপর। প্রধান প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার পর শামীমা স্বাধীনকে নগর ভবনের তৃতীয় তলায় ৩০৪ নম্বর কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে ঘটনাটি সুরাহার দিকে গেলেও উত্তেজিত কর্মচারীরা ওই কক্ষে ঢুকে শামীমা স্বাধীনের ওপর হামলা চালান এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ নিয়ে অন্য কাউন্সিলররাও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি পুলিশকে তলব করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সিটি করপোরেশন ভবনে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, উত্তেজিত কর্মচারীদের শান্ত করতে ওই নারী কাউন্সিলরের জন্য বরাদ্দ উন্নয়ন প্রকল্প ও সম্মানী ভাতা স্থগিত করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিষদে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বরখাস্ত করার জন্যও স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে সুপারিশ করা হবে। বিষয়টি আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সুরাহার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সিসিকের কর্মচারী সংসদের সাধারণ সম্পাদক আক্তার সিদ্দিকি বাবলু বলেন, নির্ধারিত এ সময়ের মধ্যে ওই নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এনইউ/জিপি/এইচএ