মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সিরডাপ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফামের রোহিঙ্গা বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অক্সফাম কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে আশ্রিত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- অক্সফাম কর্মকর্তা দীপঙ্কর দত্ত, সুলতানা বেগম, এম বি আকতার, ড. ত্রিনি লিয়ং, মৃদুলা বাজাজ, লিলাইন মারকডা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ৬৫ বছর বয়সী শরণার্থী নূর আলমের ভাষ্য-আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাইলে তারা ফিরে যাবেন। কিন্তু জোর করে ফেরত পাঠানোর চেয়ে নদীতে নিক্ষেপ বা কবর দেওয়া ভালো।
‘৬০ বছর বয়সী রোহিঙ্গা শরণার্থী ইউনুস কাদির বলেছেন, মিয়ানমার বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাখাইনে রোহিঙ্গারা শান্তিতে থাকবে। কিন্তু এবার যে নির্মম ঘটনা তারা ঘটিয়েছে আমরা এরপরও তাদের বিশ্বাস করতে পারি না। নিরাপত্তা না দিলে আমরা ফিরে যাবো না। ’
অক্সফামের সাক্ষাতকারে তিনটি বার্তা এসেছে জানিয়ে তারা আরও বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জোর করে নয়, নাগরিকত্ব ও সাম্য প্রতিষ্ঠা করে তবেই মিয়ানমারকে তাদের ফেরত নেওয়া উচিত। জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা চান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
কেজেড/এমএ