মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলরদের সঙ্গে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ শীর্ষ পর্যায়ের জরুরি বৈঠেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শামীমা সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আগের খবর: সিসিকে নারী কাউন্সিলরের হাতে প্রধান প্রকৌশলী লাঞ্ছিত
বৈঠকে শামীমাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে সিসিক মেয়র আরিফুল বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য আমরা লজ্জিত ও অনুতপ্ত। কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে কাউন্সিলর শামীমা স্বাধীনকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দেওয়া হবে। ’
মেয়র বলেন, ‘একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এমন সিদ্ধান্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে। ’
এ সময় তিনি সিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কাজে যোগদানের আহ্বান জানান।
সিসিকের কর্মচারী সংসদের সাধারণ সম্পাদক আক্তার সিদ্দিকি বাবলু বলেন, ‘আমরা মেয়র ও কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি। কিন্তু সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরবর্তীতে সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে’।
শামীমা যেন নগর ভবনে থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পারেন, সেজন্য সবাইকে নিবৃত্ত থাকার আহ্বান জানান বাবলু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে একটি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে নূর আজিজুরের ওপর চড়াও হন শামীমা। এর জেরে তাকে নগর ভবনের তৃতীয় তলায় ৩০৪ নম্বর কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সেসময় উত্তেজিত কর্মচারীরা ওই কক্ষে ঢুকে শামীমা স্বাধীনের ওপর চড়াও হন এবং তাকেও লাঞ্ছিত করেন। এ নিয়ে অন্য কাউন্সিলররাও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি পুলিশকে তলব করা হয় ঘটনাস্থলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এনইউ/জিপি/এইচএ