এর অংশ হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টার মধ্যেই বহিরাগতদের গুলশান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ডিএমপি সদর দফতরে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে কোন উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোন সমাবেশ, গান-বাজনা করা এবং আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টার মধ্যে গুলশান এলাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থানরত বাহিরের লোক এলাকা ছেড়ে চলে যাবে। আর স্থানীয়রা রাত ৮ টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রবেশ করবেন।
শুধুমাত্র কাকলী ও আমতলী ক্রসিং দিয়ে গুলশানে প্রবেশ করা যাবে। রাত ৮ টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ব্যতীত কোন গাড়িকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। পায়ে হেঁটে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে।
কমিশনার আরও বলেন, যদি কেউ চার দেয়ালের মধ্যে নববর্ষ উদযাপন করতে চান তাতে কোন বাধা নেই। তবে অনুষ্ঠানের পূর্বেই পুলিশকে জানাতে হবে। রাস্তায় যদি কেউ অপ্রীতিকর কাজ করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
৩১ তারিখ সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ঢাকা শহরের সকল বার বন্ধ থাকবে। কেউ এই নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উদযাপনের বিষয়ে কমিশনার বলেন, বড়দিনে প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে থাকতে হবে। আর্চওয়ে দিয়ে প্রতিটি দর্শনার্থীকে চার্চে ঢুকতে দেয়া হবে। তল্লাশির ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর ও ম্যানুয়ালি হাত দিয়ে তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। কোন প্রকার ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ, ব্যাগপ্যাক নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
পিএম/আরআই