অভিযোগ অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার সোহেল রানা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযোগ উঠেছে, সোহেলের লালন শাহ হলের ২৩৫ নম্বর কক্ষে থাকেন। বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ও ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মী আসাদুজ্জামান আসাদ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার কক্ষে গিয়ে রাত ১১টার দিকে লালন শাহ হলের ৩৩৫ নম্বর কক্ষে মিটিং আছে বলে তাকে যেতে বলেন। দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার থাকায় সোহেল মিটিংয়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু আসাদ পরীক্ষা থাকলেও মিটিংয়ে যেতে হবে বলেন। পরে সোহেল ৩৩৫ নম্বর কক্ষে গেলে ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মী সালাহউদ্দিন আহমেদ সজলের নেতৃত্বে শিহাব, মিঠু কবির, রুবেল ও মুস্তাফিজুর রহমান শিপন তাকে মারধর করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমানের হলে থাকা অবস্থায় সোহেলকে সকালের মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলেন সজল। পরে সোহেল রাতে ছাত্রলীগ কর্মী ও আইন বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহম্মেদ সুমনের কক্ষে চলে যান।
মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে সজল বাংলানিউজকে জানান, সোহেল ছাত্রলীগ সভাপতি ও তাকে গালিগালাজ করেছেন।
এদিকে, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিন ও কর্মী শাকিল আহম্মেদ সুমন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ রয়েছে বলে জানা গেছে। সুমনের কক্ষে সোহেল রয়েছে শুনে সভাপতি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে উভয়পক্ষের লোকজন অনুষদ ভবনের করিডরে অবস্থান নেন।
একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে সোহেলকে লালন শাহ হলের ২৩০ নম্বর কক্ষ থেকে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বের করে দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে মিঠু কবির (১০-১১, আইসিই) এবং রুবেল (১০-১১, আইসিই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র। ৬ আগস্ট সাংবাদিক লাঞ্ছনার দায়ে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে মিঠু কবিরকে ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসআই