প্রায় আড়াই ঘণ্টা থানা পুলিশের হেফাজতে থাকার পর স্ট্রোক করে জিয়ারত হোসেন মারা যান বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জিয়ারত হোসেনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে থানা পুলিশ।
জিয়ারত হোসেন ঢাকার ধামরাই উপজেলার বারবারিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে।
গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বারবারিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সার্জেন্ট কাজী মনিরুজ্জামান ৩শ’ গ্রাম গাঁজাসহ জিয়ারত হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এরপর থানা হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন জিয়ারত। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে নিহতের ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহটি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলেও জানান ওসি।
এ ব্যাপারে জিয়ারত হোসেনের এক স্বজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, সুস্থ অবস্থায় জিয়ারতকে আটক করলো পুলিশ। আর দুই ঘণ্টা পরেই তার মৃত্যু হয়ে গেলো!
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. লুতফর রহমান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জিয়ারত হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। এজন্য মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর জিয়ারত হোসেনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
আটকের বিষয়ে জানতে গোলড়া হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট কাজী মনিরুজ্জামানের মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে গোলড়া হাইওয়ে থানায় গিয়েও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এমজেএফ