মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিফাত উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের মাছমারা ভাজনপুর পাঠানপাড়া গ্রামের হারুন-অর-রশিদের ছেলে।
এর আগে দুপুরে প্রতিবেশী ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় সিফাত আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে রাজশাহী গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ১০ বছরের ওই কিশোরী বাড়িতে একাই ছিলো। এ সময় সিফাত ওই কিশোরীর কক্ষে ঢুকে তাকে জোর করে ধর্ষণ করে।
পরে প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই বাড়িতে যায়। তবে প্রতিবেশীরা আসার আগেই সিফাত বাড়ি ছেড়ে কৌশলে সটকে পড়ে। ওই রাতেই কিশোরীকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে ওই কিশোরী সেখানেই চিকিৎসাধীন রেয়েছে।
ওসি বলেন, সিফাতকে গ্রেফতার করা পর বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের ওসিসিতে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
কিছুটা সুস্থ্য হলে আদালতে নিয়ে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলেও জানান গোদাগাড়ী থানার পুলিশের এক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসএস/জিপি