জায়গা সংকটের কারণে এসব শিশুর চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। তিনদিনে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে (১৭, ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর) সাড়ে তিনশ শিশু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে।
মৃতরা হলো, সদর উপজেলার ডি হাট এলাকার পাপ্পুর ছেলে বাবু, শীবগঞ্চ এলাকার হাসম আলীর মেয়ে বেবী, পঞ্চগড়ের শাকোয়ার রহমানের নবজাতক ছেলে।
প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় গ্রামগঞ্জে আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য শিশু। জেলা সদর হাসপাতাল ছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত তিনদিনে শীতজনীত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে সাড়ে তিনশ শিশু, মারা গেছে নবজাতক শিশুসহ তিনজন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় (১৯ ডিসেম্বর) ১০৩ জন শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জন ডায়রিয়া এবং ৫০ জন নিউমোনিয়াসহ পেট ব্যথায় ২৩ জন আক্রান্ত। আউটডোরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আরও দেড় শতাধিক শিশুকে।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, শীতজনিত রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে গরম কাপড় ব্যবহার, গরম খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছি। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শিশু রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
আইএ