ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের ভোট গণনাকালে ভাঙচুর, গণনা স্থগিত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের ভোট গণনাকালে ভাঙচুর, গণনা স্থগিত ভোট গণনাকালে ভাঙচুর, গণনা স্থগিত, ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্যদের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে জেলা স্টেডিয়াম ভবনে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় দুর্বৃত্তরা নবনির্মিত এ স্টেডিয়ামে ভাংচুর চালায়। এ সময় ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার পর ভোট গণনা স্থগিত করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা স্টেডিয়ামের নবনির্মিত মূল ভবনে শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচনের ভোট গণনা চলছিল। আওয়ামী লীগ দলীয় দুটি প্যানেলে ২০ জন করে মোট ৪০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম দুটি প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন। ভোট গণনাকালে ভাঙচুর, গণনা স্থগিত, ছবি: বাংলানিউজ

ভোট গণনাকালে একটি পক্ষের সমর্থকরা হঠ্যাৎ এ হামলা চালায়। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। এতে স্টেডিয়াম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। স্টেডিয়ামের অধিকাংশ জানালা দরজার থাই গ্লাস ও চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় কিছু ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। দুই অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।  

কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, বোমা হামলা করা হয়েছে। গুলিও চলেছে।  যদিও পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

পরে পুলিশ ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভোট গণনাকালে ভাঙচুর, গণনা স্থগিত, ছবি: বাংলানিউজএ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর-ই-আলম রাত ১১টা ৫৪ মিনিটে বাংলানিউজকে বলেন, দুর্বৃত্তদের হামলা ও ভাংচুরের কারণে ভোটগণনা স্থাগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে কী করা যায় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ধারণা ঘটেনি। ওখানে ওইভাবে লোকজন ঢুকতে পারেনি। আবার দুই একজন ওই দিকে ছিলও। তাই গণনা না করে বলা যাবে না।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মনিরা সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, ভোট গণনার সময় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কেএমপির ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) আব্দুল্লাহ আরেফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

তবে সংঘর্ষের বিষয়ে দুই প্যানেলের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, সকাল ৯টা থেকে বিরতিহীনভাবে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় । এর আগে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এমআর/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।