অভিযোগ অনুযায়ী, বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মাস্টারেরবাড়ী সীমান্তের ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত রশিদুল ইসলাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের মোমিনপুর (কবরস্থান) এলাকার মৃত তছলিম উদ্দিনের ছেলে।
জোংড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মানিক হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রশিদুলসহ কয়েকজন রাখাল ভোরে ওই সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে যান। এসময় ভারতীয় ৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পানিশালা ক্যাম্পের টহল দল তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে সঙ্গীরা পালাতে পারলেও রশিদুলকে ধরে বেদম মারধর করে ফেলে রেখে যায় বিএসএফ। পরে সঙ্গীরা এসে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রশিদুলের পরিবার তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পাটগ্রাম থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
জোংড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফ আলী জানান, রশিদুলের দেহে লাঠি, বুট ও বন্দুকের বেয়নেট দিয়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর-৬১ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেজর মুনীরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক অভিযোগ পেয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসএফ’র নির্যাতনে রশিদুল নিহত হয়েছেন কি না, তা বিজিবি খতিয়ে দেখছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এসআই