বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউপি সদস্যরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে এ অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা হলেন- জয়নাল আবেদিন, ফজলুর রহমান, আলাউদ্দিন, মো. আব্দুল হেকিম, মো. আলী হোসেন, আব্দুল হান্নান মিয়া, জোসনা বেগম, মোছা. মমতাজ বেগম, মোছা. জোসনা।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উদ্দিন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় সরকার নীতিমালা না মেনে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর ছাড়াই বিভিন্ন প্রকল্প নামমাত্র জমা দিয়ে বরাদ্দ আত্মসাৎ করছেন। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩’র ২১ লাখ এক হাজার টাকা বরাদ্দ আসলেও ইউনিয়ন পরিষদ বা ওয়ার্ডে কোনো সভা না করে এবং ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর ছাড়াই মনগড়া প্রকল্প জমা দিয়েছেন চেয়ারম্যান। টাকা আত্মসাতের জন্য এ প্রকল্পটি দুইবার দাখিল করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তাছাড়া ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও কর্মসৃজন প্রকল্পে ১৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ হয় এ ইউনিয়নে। কিন্তু এসব বাস্তবায়ন ও তদারকির জন্য আলাদা কমিটি থাকলেও কোনো কমিটির সভাই করেননি চেয়ারম্যান নূর উদ্দিন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের টাকা স্টক রেজিস্টারে না তুলে এ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়মবহির্ভূত কাজের প্রতিবাদ করায় ইউপি চেয়ারম্যান নূর উদ্দিন তাদেরকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
এসময় অভিযোগকারীরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অভিযোগকারী ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জয়নাল আবেদিন বাংলানিউজকে বলেন, চেয়ারম্যানের দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এর প্রতিবাদ করায় তিনি আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ কারার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
টিএ