উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
তারা হলেন– নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত গোলাম সরোওয়ার, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনীত মজিবর রহমান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে সুধান্য চন্দ্র সরকার, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জাকির হোসেন ও হাতপাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত আব্দুর রহমান।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
উপজেলা রিটার্নিং ও উপজেলা কৃষি অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. খাজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ উপ-নির্বাচনে মোট ২১ হাজার ৩শ’ ৮৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। মোট ১০টি কেন্দ্রের ৬১টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। এসব কেন্দ্রে ১০ জন প্রিজাইডিং ও ১৯৩ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ৭-৮ জন পুলিশ সদস্য, ১৫-১৬ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এর বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে এক প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও এক প্লাটুন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্য মোতায়েন থাকবে নির্বাচনী এলাকায়।
২০১৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সুবোদ চন্দ্র সরকার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট তিনি মারা যান। পরে ২৮ আগস্ট চেয়ারম্যান পদ শুন্য ঘোষণা করে উপ-নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
গত ১২ নভেম্বর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৩ নভেম্বর শেষ দিন পর্যন্ত পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে ২৬ নভেম্বর যাছাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর ছিলো মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন। ৪ ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে। এরপর থেকে তারা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি