বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশিষ চৌধুরী বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। একই ঘটনায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী শামীম আহসান বাদী হয়ে অপর একটি অভিযোগ করলে সেটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে থানায় রেকর্ড করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ভোট গণনার সময় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। এতে স্টেডিয়াম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গুলি ও বোমা বর্ষণ, দফায় দফায় সংঘর্ষ, সীমাহীন তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয় নবনির্মিত খুলনা জেলা স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামের অধিকাংশ জানালা, দরজার থাই গ্লাস ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় কিছু ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
স্টেডিয়াম ভবন ভাঙচুরে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা ক্রীড়াসংস্থার কর্মকর্তারা। এ ঘটনার পর ভোট গণনা স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর-ই-আলম।
শিশু ফাউন্ডেশন নির্বাচনে উন্নয়ন ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিষদে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপির নেতৃত্বের প্যানেলে ২০ জন ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা পরিষদে সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০ জনসহ মোট ৪০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আমিন উল আহসান বলেন, নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। শিশু ফাউন্ডেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং দোষীদের শাস্তির মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিভাগীয় কমিশনার খুলনায় এলে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
আহত-রক্তাক্ত খুলনা জেলা স্টেডিয়াম!
বাংলাদেশ সময়: ০১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এমআর/জেডএস