বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে কায়েমপুর এলাকার আমির হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ ওই বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত সাজেদা আক্তার মীম (২০) জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার সিরাজাবাদ গ্রামের হারুন উর রশিদের মেয়ে। ঘাতক স্বামী শামিউল ইসলাম ইসলামপুর থানার তাসিহারা গ্রামের সানু মিয়ার ছেলে।
নিহতের বড় বোন হামিদা বেগম জানান, শামিউল ইসলামের সঙ্গে এক বছর আগে মীমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা স্বামী-স্ত্রী ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকার আমির হোসেনের বাড়িতে ভাড়ায় একটি রুম নিয়ে বসবাস করছে। শামিউল ইসলাম রিকশা চালাতো, তবে সে রাতে বিভিন্ন ধরনের নেশা করতো। আর মীম শিবুমার্কেট এলাকায় অবস্থিত সাকুরা গার্মেন্টে কাজ করতো।
হামিদা আরো জানান, সম্প্রতি রিকশা চালানো ছেড়ে ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করে নেশা করছিল শামিউল। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। পারিবারিক এসব ঝামেলা নিয়েই শামিউল ইসলাম শ্বাসরোধ করে মীমকে হত্যা করে পালিয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মীমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া শামিউল ইসলামকে আটকের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
জেডএস