বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কলেজ ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন ইন্টার্ন ডাক্তার ও শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা বিনিশার আত্মহত্যার রহস্য উন্মোচনসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
ইন্টার্ন ডাক্তার সালমান বাংলানিউজকে বলেন, পরীক্ষায় খারাপ কিংবা যেকোন ভুলের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ জরিমানা করেন। এ নিয়ে আমরা সবাই আতঙ্কে থাকি। এই আতঙ্কের কারণেই বিনিশা আত্মহত্যা করেছেন।
এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনিশার আত্মহত্যার নেপথ্যে কারণ ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে, পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিনা নোটিশে ফাইনাল অ্যাসেসমেন্টসহ সব ধরনের পরীক্ষা এবং ক্লাস বন্ধ করেছে। শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ত্যাগে বাধ্য করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছে।
সালমান বলেন, ৫ বছরের কোর্স আমরা ৭ বছরেও শেষ করতে পারি না। মৌখিক পরীক্ষায় একবার পাস করি তো লিখিত পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়, আরেকবার লিখিত পাস তো মৌখিক পরীক্ষায় ফেল। ফেল করলেই ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা সঙ্গে এক বছরের টাকা আদায় করে। আবার এসব নিয়ে কথা বললেই ফেল করার হুমকি, চাপ আসে।
এ ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ কথা বলতে রাজি হয়নি।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালীন কলেজ কর্তৃপক্ষের কয়েকজন এসে আন্দোলনরতদের সঙ্গে সমোঝোতা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
দুপুরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক পৌনে ১টার দিকে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে হোস্টেলের নিজ কক্ষে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিনিশা। খবর পেয়ে ওইদিনই দুপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় বিনিশার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
**নেপালি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, কলেজ কর্তৃপক্ষের ‘রাখঢাক’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
পিএম/আরআর