ইতোমধ্যে ৭টি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ১০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান বা তাদের প্রতিনিধিদের কাছে এসব বই বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৭টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৬১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ১ হাজার ৬৫০ শিক্ষার্থীর জন্য প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্য বইয়ের চাহিদা ৯ লাখ ৫০ হাজার ১০০ কপি।
ইতোমধ্যে চাহিদার প্রায় শতভাগ বই ঢাকা থেকে জেলার সব উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা তাদের প্রতিনিধিদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্য বই বিতরণ শুরু হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মাদ্রাসা, কারিগরিসহ মোট ৪৯৬টি মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৫ জন। এসব শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী ২৯ লাখ ১৩ হাজার ৫৪০ কপি পাঠ্য বইয়ের বেশিরভাগ বই ঢাকা থেকে নাটোরে এসে গেছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে এসব পাঠ্য বই সব উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রধানের কাছে হস্তান্তর শুরু হয়েছে। তবে ভোকেশনাল পর্যায়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্য বই জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে দিয়ারভিটা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম এবং বাকশোর আইডিয়াল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর হায়দার আলী বই বিতরণ ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি ২০১৮ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সমাবেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই হস্তান্তর করা হবে। একই আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আমিরুল ইসলামও।
নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সরকারের অনন্য সফলতার মধ্যে সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া অন্যতম। শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে পড়াশুনা করে যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠলে সরকারের এ উদ্যোগ অর্থবহ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
আরবি/