বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদর থেকে বিক্ষোভ-মিছিলটি বের করা হয়। এ সময় নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার প্রায় সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা এ বিক্ষোভ-মিছিলে অংশ নেয়।
মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান বীরবলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন-চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, ভূরুঙ্গামারী সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামছুল আলম মতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, আলাউদ্দিন, ফুলবাড়ী সাবেক উপজেলা কমান্ডার মজিববর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, উলিপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, নুরুল ইসলাম, রাজারহাট উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন, নাগেশ্বরী উপজেলা সাবেক কমান্ডার আ ন ম মুসা, সাবেক কমান্ডার মতিয়ার রহমান মতি, মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন, নওশাদ আলী, হযরত আলী, নুর মোহাম্মদ নুরু, এটিএম আজাদ আলী, আব্দুল জলিল, আব্দুল খালেক, মজিবর রহমান বঙ্গ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ২৭ এপ্রিল যাচাই-বাছাই কমিটির প্রকাশিত তালিকায় ২২৪ জনের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশই রাজাকার, আলবদর, আলশামস, তৎকালীন মুসলীম লীগ ও জামায়াত ইসলামীসহ স্বাধীনতা বিরোধী এবং অনেকেই মুক্তযুদ্ধকালীন সময়ে শিশু ছিলেন। মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামে তালিকাভুক্ত করার যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ওসমান গণি, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বকর সরকারসহ কমিটির একাধিক সদস্য।
স্বাধীনতা বিরোধীদের মুক্তিযোদ্ধা বানানোর এ নোংরা কাজে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করে নাগেশ্বরীতে অবাঞ্চিত ঘোষণাসহ শাস্তি দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধারা। একই সঙ্গে বিতর্কিত তালিকা সংশোধন করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এফইএস/ওএইচ/