বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজের পর বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে এ আঞ্চলিক ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর)।
ইজতেমার ব্যবস্থাপনা কমিটির জিম্মাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ময়মনসিংহ জেলা তাবলীগ জামাতের সূরা সদস্য, ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহে চতুর্থবারের মতো এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। প্রায় ৫০ একর জমিতে নির্মিত প্যান্ডেলের ভেতরে বসে সাড়ে তিন লাখ এবং আশপাশের প্রায় ৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি দ্বীনের বয়ান শুনছেন। ইজতেমায় কাকরাইলসহ তাবলীগ জামায়াতের বিশিষ্ট মুরুব্বীরা বয়ান করছেন।
ইজতেমায় বধিরদের জন্য আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে। তাদের মূল প্যান্ডেলে বয়ান বদিরদের ইশারায় অনুবাদ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্বের মানুষ কীভাবে আল্লাহ ওয়ালা ও ইমান ওয়ালা হবে এবং জাহান্নাম ও দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পেয়ে জান্নাতে যেতে পারে এ নিয়েও বয়ান করবেন মুরুব্বিরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ইজতেমা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন ও মুসল্লিদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে সেখানে গিয়ে ছিলেন ময়মনসিংহ পৌর মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।
ময়মনসিংহের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আল আমিন জানান, মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া ওয়াচ টাওয়ার, ৩টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। সন্ত্রাস ও নাশকতাসহ নানা অপরাধ দমনে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এখান থেকে সার্বিক বিষয়াদি মনিটরিং করা হচ্ছে।
এর আগে ২০০৩, ২০০৮ ও ২০১৫ সালে এখানে আঞ্চলিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি বছরে চতুর্থবারের মতো এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এমএএএম/ওএইচ/