বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৩ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন আহত পোশাক শ্রমিক ওই নারী।
আসামিরা হলেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি আছদ্দির চরের মৃত মুকুল মিয়ার ছেলে অজিয়ার রহমান (২৪), আফসার আলীর ছেলে সুমন মিয়া (১৭), আব্দুলের ছেলে আলামিন মিয়া (২১)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে আসামিরা গোবর্ধন গ্রামের পাশে তিস্তার চরে পিকনিকের আয়োজন করে। সেখানে তারা তাবু টেনে থাকার ব্যবস্থা করে।
ওই পিকনিক স্পটের পাশ দিয়ে সন্ধ্যায় আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন গ্রামের এক দিনমজুরের স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ে পোশাক শ্রমিক তার ছোট ভাই ও সন্তানকে নিয়ে সন্ধ্যায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
এ সময় পিকনিকের তাবুর নিচ থেকে আসামিরা ৩জন বের হয়ে তাদেরকে আক্রমণ করে ওই নারীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় তার ছোট ভাই তাদের বাধা দিলে তাকে এলোপাতারি মারপিট করে মাটিতে ফেলে দিয়ে তাকে পাশে টেনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এ সময় আসামিরা ওই নারীর মাথায় সজোরে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। পাশে আহত ভাইয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের দুই ভাই বোনকে উদ্ধার করে আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে আহত ওই নারী বাদি হয়ে ওই দিন রাতে ৩ ঘাতকের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে পুলিশ।
হাসপাতালের বেডে আহত ওই নারী বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয়রা ছুটে না এলে ঘাতকরা তার সম্ভ্রম নষ্ট করে তাকে মেরে ফেলতো। তিনি নারী আইন সহায়তা সংস্থাগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহন করে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
বিএস