শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলায় পুঁটিখালি ইউনিয়নের সোনাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চালিতাবাড়ি গ্রামের ইব্রাহিম শেখ (৪৮) ও একই গ্রামের শাহজাহান শেখের ছেলে পলাশ শেখ (৩২)।
আহতদের মধ্যে সাতজনকে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কবির শেখ, মজিবর শেখ, হেমায়েত খান, জাহিদ শেখ, শিউলী ও নাজমার নাম জানা গেছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-সোনাখালী গ্রামের শহিদুল গ্রুপের শহিদুল খান (৪৫), মজিবুর খান (৬০), ওহাব খান (৬৫), বারেক খান (৬২), মজিবুুুর খানের ছেলে ইব্রাহীম খান (২৭) এবং নুুুর ইসলাম।
পুঁটিখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহচান মিয়া শামীম ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, এক বিঘা জমি নিয়ে সোনাখালি গ্রামের আব্দুর রহিম খানের সঙ্গে প্রতিবেশী শহীদুল খানের বিরোধ রয়েছে। ওই জমিতে আব্দুর রহিম আমন ধান চাষ করেছেন। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে শহীদুল ১২/১৪ জন শ্রমিক নিয়ে ওই ধান কাটতে যান। এসময় আব্দুর রহিমের আত্মীয় স্বজন বাধা দিলে শহীদুলের লোকজন সঙ্গে থাকা ধারালো ছুরি ও কাস্তে নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রহিম খানের আত্মীয় ইব্রাহিম ও পলাশের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে আহত হন দু’পক্ষের অন্তত ২০ জন।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
এসআই