এক মাস ধরে ওই ভাটায় ১২ শ্রমিককে আটক রাখা হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ।
ভুক্তভোগীরা হলেন-ফজল হক, রহমত আলী, আহসান হাবিব, মিজান ইসলাম, নরুল ইসলাম, মামুন বিল্লাল, শহিদুল গাজী, রফিকুল ইসলাম, রহুল আমিন, আল মামুন, শিশু শ্রমিক আমিনুর ইসলাম (০৮) ও রাজু ইসলাম (০৭)।
আটক সবাই সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, এক মাস আগে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত সেভেন ব্রিকস ও গাজী ব্রিকসে এক সরদারের মাধ্যমে দুই শিশুসহ ১২ শ্রমিক কাজ করার জন্য আসে। কিছুদিন পর ওই সরদার টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ইটভাটার মালিকরা দুই শিশুসহ ১২ শ্রমিককে আটকে রেখে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। দিনের বেলায় নজরদারি ও রাতের বেলায় আমাদের শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাইদ আল মামুন বলেন, ভুক্তভোগীদের মধ্যে আল মামুন নামে একজন মোবাইলে ফোন করে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সুরত আলীকে বিষয়টি জানান। পরে সুরত আলী ওই এলাকার সংসদ সদস্যকে জানালে তিনি ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারকে বিষয় অবহিত করেন।
পরে আমরা ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করি এবং স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ভাটা মালিকদের বিষয়ে তদন্ত করা হবে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ