এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যে গ্যাসটি বের হচ্ছে তা বায়োজেনিক গ্যাস। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহীর শ্রীরামপুর টি-বাঁধের পাশে এই পদ্মার চরের একটি পয়েন্টের তিন-চারটি স্থানে বুদ বুদ করে তরল কিছু বের হতে দেখেন এক স্থানীয় সেনেটারী মিস্ত্রী।
অবিরাম নির্গত সেই স্থানে রাতের বেলায় হঠাৎ একদিন ম্যাচের কাঠিতে আগুন ধরে যায়। এরপর সেইস্থানে পাইপ বসিয়ে কয়েকটি মুখ দিয়ে বের হওয়া গ্যাসে দিব্যি রান্না করে খাওয়া শুরু করেন স্থানীয় মাঝিমাল্লা আর উৎসুক জনতা। এ কান, ওকান করে বিষয়টি আশপাশে জানাজানি হয়।
তবে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মহানগরীর টি-বাঁধ এলাকায় এমন ঘটনা চললেও এটি পর্যবেক্ষণে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো খোঁজ-খবর নেননি। ফলে কেবল জানাজানির মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে পাতিল বসিয়ে পানি গরম করে চা তৈরি করছেন।
জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিষয়টা আমিও শুনেছি। এটা ম্যাটিউরড কোনো ধরনের গ্যাস না। ওই জায়গায় কোনো এক সময় গাছ জাতীয় জিনিস নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে। যা পচে গ্যাস তৈরি হয়েছে। এটা কিছুদিন পর শেষ হয়ে যাবে’।
তবে প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, এটা ম্যাটিউরড গ্যাস না হলেও ওখানে কিছু জ্বালানো যাবে না। এতে বিস্ফারণও ঘটতে পারে। সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।
এ ব্যপারে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি (পিজিসিএল) রাজশাহীর ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজশাহী মহানগরীর অদূরে পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের নবগঙ্গায় পদ্মা নদীর চরে এভাবেই অবিরাম গ্যাস নির্গত হয়। প্রায় এক একর এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় অন্তত: ৩০টি ছোট-বড় গর্তের। তবে পরে সেখানে আর গ্যাস মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
এসএস/বিএস