শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের আজীবন সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দেশের বিশিষ্ট এ ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তা তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের শুধু সম্মাননা দিয়েই শেষ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তখন ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন সেই দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। একসময় বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে বলতো একটি 'বটমলেস বাসকেট', আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতি সারা দুনিয়ার কাছে ঈর্ষণীয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা গর্বিত আজকে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বসবাস করি। যে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আজকে বাংলাদেশ হতো না। একই সঙ্গে এই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্ম না হলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। আমরা তাদের সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ এবং পুরো বসুন্ধরা গ্রুপ গর্বিত।
এসময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন প্রমুখ।
এইচ টি ইমাম তার বক্তব্যে বলেন, আহমেদ আকবর সোবহান ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করার সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তখন আমি তার সঙ্গে ছিলাম। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, আমরা এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবো। আজকে তার সেই কথার প্রতিফলন আমি দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের কোনো মিডিয়া হাউজ এর আগে এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি।
পরে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা ১৭ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্মাননা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীরউত্তম, মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ বীরউত্তম, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম, কমোডর (অব.) এ ডব্লিউ চৌধুরী বীরউত্তম ও বীরবিক্রম, কর্নেল (অব.) এইচ এম এ গাফ্ফার বীরউত্তম, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীরউত্তম, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) লিয়াকত আলী খান বীরউত্তম , মেজর (অব.) কামরুল হাসান ভূঁইয়া, মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, কমান্ডার (অব.) খলিলুর রহমান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কামাল লোহানী, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এবং মামুনুর রশীদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
এসআইজে/এমসি/এসএইচ