শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় ঢাকা ঢামেক থেকে মুক্তামনিকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন তার পরিবারের সদস্যরা।
শুধু প্রতিবেশীই নয়, বাড়ি পৌঁছে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে মুক্তামনিও।
এ সময় অনুভূতি জানতে চাইলে মুক্তামনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলে, ছয় মাস পরে বাড়ি আইছি। আমার অনেক ভালো লাগছে। হাসপাতালে থাকলিও বাড়ির কথা আমার বারবার মনে পড়তো। অনেকদিন পর বাড়ি আসলাম, সবার সাথে দেখা হবে। আমার খুব ভালো লাগছে।
মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিয়ে আমার মেয়ের এতো বড় চিকিৎসা করিয়েছেন। এজন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তিনি সব সময় খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তিনি সহযোগিতা করেছেন বলেই মুক্তামনিকে চিকিৎসা করানো গেছে। শুধু তাই নয়, তিনটি ওষুধ আর অ্যাম্বুলেন্স খরচও দিয়ে দিয়েছেন। ডা. সামন্ত লাল সেন স্যার আমাকে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করতে বলেছেন। একমাস পর আবারও চেকআপের জন্য ঢাকায় যেতে বলেছেন।
‘নয় বছরেও ধরা পড়েনি মুক্তার রোগ’ শিরোনামে বাংলানিউজে খবর প্রকাশের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একাধিক খবর প্রকাশিত হয়। এরপর তোলপাড় সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। এমন খবর পড়ে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মুক্তার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই গ্রহণ করেন মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্বভার। শুরু হয় মুক্তামনির চিকিৎসা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
এএ