শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সালাম একই গ্রামের মো. সোনা মিয়ার ছেলে।
সমাজ সহিলদেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম খান সোহেল বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের কচুয়া বিলের কিছু অংশের মালিকানা নিয়ে কৃষক সোনা মিয়া (৭০) ও বাসচালক মোতালেব মিয়ার (৫০) মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরমধ্যে আবার গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বারেক মিয়া দাবি করছেন সোনা মিয়ার প্রতিপক্ষ মোতালেবের কাছ থেকে বিলের কিছু অংশ তিনি কিনেছেন। অতএব বিলে তারও মালিকানা রয়েছে।
বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে সন্ধ্যায় সোনা মিয়া ওই বিলে তার তিন ছেলে রতন মিয়া (৪০), কালাম মিয়া (৩৭) ও আব্দুস সালামকে (৩০) নিয়ে মাছ ধরতে যান। পরে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বারেক মিয়া তার লোকজন নিয়ে সোনা মিয়াসহ তার তিন ছেলের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন।
এদিকে আহতদের বরাত দিয়ে সোনা মিয়ার প্রতিবেশী জহিরুল হক হীরা বাংলানিউজকে জানান, হামলায় সাবেক ইউপি সদস্য বারেকের সঙ্গে ছিলেন সাবেক আরও এক ইউপি সদস্য আরজু আর নুরুজ্জামান ও কাশেমসহ বেশ কয়েকজন। তারা প্রত্যেকেই রামদা দিয়ে কুপিয়ে চারজনকে ক্ষত-বিক্ষত করেন।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনসারী জিন্নাৎ আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক সোনা মিয়াসহ তার তিন ছেলে রতন, কালাম ও সালাম গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে সালামের মৃত্যু হয়। আহত বাকি তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম বাংলানিউজে বলেন, হামলা ও নিহত হওয়ার ঘটনায় জয়পুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে জুয়েল ও মৃত আমির হোসেনের ছেলে আলমাসকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী যেকোনো সহিংসতা এড়াতে এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সালামের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মামলাও প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এএ