শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত ভোররাত ৩ টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর ১২ টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসাইন।
নিহতরা হলেন- দেবিদ্বার উপজেলার কুরুইন ব্যাপারী বাড়ির ফরিদ মিয়ার ছেলে মো. ওমর ফারুক (২২) ও একই উপজেলার ছেচড়া পুকুরিয়া এলাকার রহমান রইক্কার ছেলে মো. রাসেল (২৮)।
আটক ডাকাতরা হলেন- উপজেলার ফুলতলী গ্রামের ইমানদী বাড়ির আ. মতিনের ছেলে মো. রবিউল আউয়াল ওরফে রবি (২৬), সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়া এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে মো. কামাল হোসেন (৪৫), বুড়িচং উপজেলার কংশনগর পশ্চিম সিং গ্রামের মান্নান মেম্বার বাড়ির আ. ফরিদ মিয়ার ছেলে মো. শরীফুল ইসলাম (২২), একই উপজেলার কংশনগর (হিন্দুপাড়া) গ্রামের গোপাল দেবনাথের ছেলে পলাশ দেবনাথ (২৪) এবং ইন্দ্রবর্তী দক্ষিণপাড়া এলাকার সামছু সওদাগর বাড়ির আ. রাজ্জাকের ছেলে মো. সোহেল (৩৬)।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসাইন বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ সুপার, দেবিদ্বার সার্কেল শেখ মোহাম্মদ সেলিম, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মনজুর আলম সঙ্গীয় এসআই মো. শাহ কামাল আকন্দ, এসআই মো. সহিদুল ইসলাম এবং অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সসহ ডিবি পুলিশের দু’টি দল অভিযানে বের হয়। অভিযানে থাকাবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের অর্ন্তগত হাতিমারার কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিমাংশে ন্যাচারাল রাইচ ব্রান অয়েল কো. লি. এর সামনের খালি জায়গায় ১২/১৪ জনের ডাকাত দলের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে।
এসময় ডিবি পুলিশ সদস্যরা গাড়ি হতে নামা মাত্রই ডাকাত সদস্যরা তাদের উপস্থিতি টের এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ৪৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়েন।
এক পর্যায়ে ডাকাত দল গুলি ছোড়ে পালানোর সময় এক রাউন্ড গুলি, একটি রিভলবার, তিনটি রামদা, ৪টি শাবল ও ৫টি কালো কাপড়ের তৈরি মুখোশসহ ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়। এঘটনায় ডিবি পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়।
তারা হলেন- ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম, কং/১০৮১ দয়াল কান্তি চাকমা, কং/১৫১৪ মো. সাইফ উল্লাহ, কং/১৩৭১ রবিন চন্দ্র দাস এবং কং/৫৩০ মনিরুজ্জামান খান।
এসময় ঘটনাস্থলের পাশে খালি জায়গায় মাথা রক্তাক্ত ও জখম অবস্থায় মো. ওমর ফারুক ও মো. রাসেল নামে দু্ই ডাকাতে পাওয়া যায়। পরে তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার আরো জানান, বন্দুকযদ্ধে নিহত দুই ডাকাতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। নিহত ও আটক হওয়া ডাকাতরা দেবিদ্বার, বুড়িচং ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭/আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা
ওএইচ/