অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর বরিশাল সরকারি গ্রন্থাগারের তৃতীয় তলায় গিয়ে বিএম কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী পাঠদান করেন।
মধ্যবর্তী সময়ে তিনি দ্বিতীয় তলার বাথরুমের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, পাঠকক্ষ সহকারী শহীদুল ইসলাম ওই কলেজছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে আগে থেকেই প্রায় সময়ই আপত্তিকর কথাবর্তা বলে আসছেন। যে বিষয়ে লাইব্রেরিতে কর্মরত নুরুল ইসলামকে ইতোপূর্বে জানানো হয়। যে বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে তারা লাইব্রেরিতে যেতে নিষেধ করে এবং ওই ছাত্রী কিছুদিন লাইব্রেরিতেও আসা বন্ধ রাখেন।
পাঠকক্ষ সহকারী শহীদুল ইসলাম এর আগেও বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে এরকম আচারণ করে আসছে বলে গত ১৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) লেখা অভিযোগটিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত পাঠকক্ষ সহকারী শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার বিরুদ্ধে কর্মস্থলের লোকজনই ষড়যন্ত্র করছেন।
অভিযোগটি পাওয়ার পরে এ ঘটনায় এখনও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন না করা হলেও উভয় পক্ষকে ডেকে ঘটনার সত্যতা জানা হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় সরকারি গ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে এ অভিযোগটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গ্রন্থাগারের ভেতরের চক্রান্তে পাঠকক্ষ সহকারীর বিরুদ্ধে এটা গুরুত্বর অভিযোগ। আর চক্রান্তের সঙ্গে গ্রন্থাগারের এমএলএসএস শিশু কিশোর শাখার মোস্তাফা জড়িত থাকার বিষয়েও ইজ্ঞিত দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এমএস/জিপি