বর্ষা উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ডাঙ্গিরপাড় গ্রামের হাসু মিয়ার স্ত্রী।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বর্ষাকে অচেতন অবস্থায় বদরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পরে সন্ধ্যায় মেয়ের মৃত্যুকে মেনে নিতে না পেরে বর্ষার বাবা রফিকুল ইসলাম বর্ষার স্বামী হাসু, শাশুড়ি হোসনে আরাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে বদরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর-২০। মামলা দায়ের পরপর পুলিশ বর্ষার শাশুড়ি হোসনে আরাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ মাস আগে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাড়পাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে বর্ষার সঙ্গে রাধানগর ইউনিয়নের ডাঙ্গির পাড় গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে হাসু মিয়ার বিয়ে হয়।
বর্ষার বাবা রফিকুল বাংলানিউজকে বলেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
‘ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে’ বলেও অভিযোগ করেন বাবা রফিকুল।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান প্রধান বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে এবং বর্ষার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
আরআইএস/