শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। বোরহান জেলার রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের মশাজান গ্রামের মক্তছির মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ২০ ডিসেম্বর (বুধবার) নিউমোনিয়া আক্রান্ত অবস্থায় মক্তছির মিয়া তার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার বিকেলে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে দায়িত্বরত নার্সকে রোগী দেখতে বললে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ পরে নার্সরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিলেও সে মারা যায়।
পরে হাসপাতালের শিশু বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম খান শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় ডা. শহিদুল ইসলাম খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স রীতা রাণী দেবী বাংলানিউজকে বলেন, সিবিআর নিউমোনিয়া আক্রান্ত বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে সাবধান থাকতে হয়। কিন্তু তারা বাচ্চাটিকে দুধ পান করিয়েছে। ফলে খাদ্যনালীর বাইরে দুধ চলে যাওয়ায় বাচ্চাটি মারা যায়।
অপরদিকে, রোগীর অবস্থার অবনতির বিষয়টি অভিভাবকরা আমাদের জানাতে দেরি করেছেন। তারপরও আমরা শিশুটিকে আম্বু দিয়েছি। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
আরবি/