এর মধ্যে সামসুল আরিফিন রনি (৩৪) নামে একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং যুবলীগ নেতা খায়রুজ্জামান সবুজ (৩২) নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার উপজেলার পানগুছি নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সামছুল আরেফিন রনি খুলনা কেডিএ’র সার্ভেয়র এবং খায়রুজ্জামান সবুজ খুলনা সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তাদের দুই জনের বাড়ি খুলনার শেখপাড়া এলাকায়।
আহত রনি বাংলানিউজকে জানান, একটি পাঁচতলা ভবনের ডিজাইন করার কথা বলে হাসান নামে এক যুবক দুপুরে খুলনা থেকে রনি ও সবুজকে মোরেলগঞ্জে নিয়ে আসেন। বেলা ১১টার দিকে তারা একটি ট্রলারে উঠে বলেশ্বর নদী দিয়ে শরণখোলার দিকে যাচ্ছিলেন। তারা গাবতলা এলাকায় পৌঁছালে ট্রলারে থাকা সাত যুবক রনি ও সবুজকে ছুরিকাঘাত ও মারপিট শুরু করেন। এ সময় জীবন বাঁচাতে তারা দুইজনেই নদীতে ঝাঁপ দেন। এরমধ্যে রনি পাড়ে উঠতে পারলেও সবুজ নিখোঁজ হন।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিকেলে রনিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ যুবলীগ নেতা সবুজকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে।
জিয়ানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আজিজুল হক বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় জড়িত সাত জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সাতজনের বাড়ি পিরোজপুর জেলা সদর ও পারেরহাট এলাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এনটি